-- বিজ্ঞাপন ---

দুবাইয়ের রায়াদ গ্রুপের “লাইফটাইম ইউএই গোল্ডেন ভিসা” বিতর্ক: ক্ষমা ও সেবা বন্ধের ঘোষণা

“লাইফটাইম ইউএই গোল্ডেন ভিসা” নিয়ে বিতর্কে দুবাইয়ের রায়াদ গ্রুপ, ক্ষমা প্রার্থনা করে সরে দাঁড়ালো। জানা গেছে, দুবাই-ভিত্তিক রায়াদ গ্রুপ সাম্প্রতিক সময়ে “লাইফটাইম ইউএই গোল্ডেন ভিসা” নিয়ে বিতর্কিত দাবির মধ্যে পড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ১ লাখ দিরহামের নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে কথিত মনোনয়ন-ভিত্তিক গোল্ডেন ভিসা প্রদানের কথা বলে আসছিল।

কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্টস সিকিউরিটি (ICP) এক বিবৃতিতে এই দাবিকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তারা সাফ জানিয়ে দেয় যে, “লাইফটাইম ভিসা” নামে কোনো সরকারি প্রোগ্রাম নেই এবং সব ভিসার সিদ্ধান্ত সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমেই নেওয়া হয়।

এরপর বুধবার খালিজ টাইমসকে পাঠানো এক বিবৃতিতে রায়াদ গ্রুপ বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছে: “আমরা স্বীকার করছি যে, সাম্প্রতিক সংবাদ ও জনআলোচনার কারণে ‘লাইফটাইম গোল্ডেন ভিসা’ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। এই উদ্যোগটি ছিল আমাদের এবং কিছু লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইমিগ্রেশন অংশীদারদের মধ্যে একটি প্রাথমিক সহযোগিতা, যার মাধ্যমে আমরা যোগ্য প্রার্থীদের পরামর্শ দিতে চেয়েছিলাম। তবে এটি কোনো গ্যারান্টিযুক্ত প্রোগ্রাম ছিল না।”

রায়াদ গ্রুপের বক্তব্যে আরও বলা হয়: “আমরা ICP-এর সাথে একমত যে, সব গোল্ডেন ভিসার আবেদন সরকারি অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমেই প্রক্রিয়াজাত হবে। কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরাসরি ভিসার নিশ্চয়তা দিতে পারে না। আমাদের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কিছু মন্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপিত হওয়ায় ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আমরা এজন্য দুঃখিত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিভ্রান্তি এড়াতে সাবধান থাকবো।”

কোম্পানিটি আরও ঘোষণা করেছে যে, তারা গোল্ডেন ভিসা বিষয়ক বেসরকারি পরামর্শ সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে।

বর্তমানে “লাইফটাইম গোল্ডেন ভিসা” নামে কোনো সরকারি প্রোগ্রাম নেই। ভিসা সংক্রান্ত সব ধরনের আবেদন সরাসরি ইউএই সরকারের অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে করতে হবে।