-- বিজ্ঞাপন ---

আফগানিস্তানে আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড মাসরি নিহত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেররিষ্ট তালিকার শীর্ষে ছিলেন এ নেতা

কাজী আবুল মনসুর ##

আফগান ও আমেরিকান সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল কায়েদার শীর্ষ নেতা আবু মহসিন আল মাসরি। যিনি আফগানিস্তানে আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেররিষ্ট তালিকার শীর্ষে ছিলেন মাসরি। তার মৃত্যুর খবর বের হতে না হতেই আফগানিস্তানের কাবুলের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রে আত্মঘাতি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মারা গেছে ১৮ জন। আহত হয়েছে ৫৭ জন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আবু মহাসিন আল মাসরি অবস্থানের খবর জেনে    শনিবার রাতে আফগানিস্তানের গানজা শহরে অবস্থান নেয় আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। তাদের সহযোগিতা করে আফগানে থাকা মার্কিন বাহিনী। চালানো হয় বিশেষ অভিযান। অভিযানে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে আবু মহসিন আল মাসরি ঘটনাস্থলে মারা যান। তার মৃত্যুর পর আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অব সিকিউরিটি (এনডিএস) হতে জানানো হয়, আল মাসরি আফগানিস্তানে আল কায়েদার সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলেন। যিনি ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট এ সুপ্রিম নেতা ছিলেন। ‘

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এফবিআই তাকে হত্যার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। জাতিগতভাবে মিসরের নাগরিক আল মাসরি আফগানিস্তানে হুসান আবদ আল রউফ নামে পরিচিত ছিলেন। আমেরিকার ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় ছিলেন তিনি।  ডাইরেক্টর অফ সিকিউরিটি এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আল মাসরি  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র  নানা বিষয়গুলিসহ ইন্ডিয়ান সাবকন্টিনেন্ট দেখাশোনা করতেন। গত ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ইউএস ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজমের প্রধান নিবার্হীর পক্ষ থেকে আল মারসির মৃত্যরে ব্যাপারে মার্কিন প্রশাসনকে নিশ্চিত করা হয়।গত মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও উল্লেখ করেন শীর্ষ ২০০ আল-কায়েদা নেতা আফগানিস্থানে এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারা সবকিছু নিয়ন্ত্রন করছে।

এদিকে আলমারসি  মৃত্যুর খবর প্রকাশ হতে না হতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিক্ষা কেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেছে ১৮ জন।আহত হয়েছে ৫৭ জন। তবে কেউ এ মৃত্যুর দায় স্বীকার করে নি। তালেবান এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে বিবৃতি দেয়। উল্লেখ্য আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে মার্কিনীদের সাথে যে শান্তি চুক্তি হয়েছে তাতে  আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাবাহিনীদের গুটিয়ে ফেলা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে আফগান থেকে মার্কিন সেনারা চলে যাবার কথা রয়েছে।##